ইউক্রেনের খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শহরটির দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনাদের পিছু হটার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল সার্গেই সুরোভিকিন জানিয়েছেন, খেরসনে যুদ্ধরত রাশিয়ার সৈন্যদের পর্যাপ্ত রসদ সরবরাহ করা সম্ভব হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, আমাদের সেনাদের জীবন ও ইউনিটগুলোর লড়াইয়ের সক্ষমতা আমরা রক্ষা করবো। পশ্চিমতীরে তাদের মোতায়েন রাখার কোনো অর্থ হয় না। এসব সেনাদের অন্য রণক্ষেত্রে পাঠানো হবে।
তবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাকে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এই রুশ জেনারেল।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক করতে দেখা গেছে। জেনারেল সুরোভিকিন এতে খেরসনের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সেই বৈঠকেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এসময় প্রেসিডেন্ট পুতিন সেখানে ছিলেন না।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে রাশিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খেরসনে নিযুক্ত রাশিয়ার ডেপুটি কমান্ডার কিরিল স্ত্রেমসোভ গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন সংবাদ প্রকাশের পরপরই রুশ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেছেন, আমরা এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে রাশিয়া বিনা লড়াইয়ে খেরসন ছেড়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করছে, সাজানো টিভি বিবৃতি দিয়ে নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে দুই পক্ষের বহু ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh